top of page

প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ; বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে মোটা টাকা আয় !

ঐতিহ্যবাহী বিনিয়োগ ধারণার অন্যতম বলা যেতে পারে ফিক্সড ডিপোজিটকে। এখনও এটি যথেষ্ট জনপ্রিয়। নিরাপদ বিনিয়োগ এবং নিশ্চিত রিটার্নের জন্যই ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমগুলিতে মানুষের ভরসা। এতে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়া যায় মেয়াদপূর্তির পর। কিন্তু এমন স্কিমও রয়েছে, যেখানে ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রতি মাসেও আয় করতে পারেন বিনিয়োগকারী। ফিক্সড ডিপোজিট মান্থলি ইনকাম প্ল্যান এমনই সুবিধা দিয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।


সাধারণত ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে দু’টি অপশন পাওয়া যায়।একটি হল কিউমুলেটিভ এফডি। এতে মেয়াদপূর্তির পর অর্থাৎ ম্যাচিওরিটির পর আসল এবং সুদ উভয় একত্র করে বিনিয়োগকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে নন-কিউমুলেটিভ এফডি স্কিমে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিয়মিত অর্থ প্রদান করা হয়। আবেদন করার সময়, বিনিয়োগকারী মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক বা বার্ষিক সময় পরিকল্পনা বেছে নিতে পারেন। কেউ মাসিক পরিকল্পনা করলে প্রতি মাসেই সুদের টাকা অ্যাকাউন্টে আসবে।


বাজারের ওঠানামা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সুদ অনুযায়ী মাসিক রিটার্ন পেতে পারেন। অর্থাৎ কোনও ঝুঁকি নেই।


ফিক্সড ডিপোজিট মান্থলি ইনকাম স্কিম করা থাকলে ঋণের সুবিধাও পাওয়া যেতে পারে।প্রয়োজনে যেকোনও সময় টাকা তুলে নেওয়া যেতে পারে। তবে তার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে, তা মেনে চলতে হবে।

যেসমস্ত প্রবীণ অবসরের পর গচ্ছিত আমানত থেকে মাসিক আয় করতে চান, তাঁদের জন্য এটি ভাল পন্থা।

আয়কর সংক্রান্ত নিয়ম—যদি কোনও ব্যক্তি ট্যাক্স সেভার ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুসারে একটি আর্থিক বছরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় পেতে পারেন।


তবে যদি একটি আর্থিক বছরে মাসিক আয় বা রিটার্ন ৪০ হাজার টাকার বেশি হয় তবে ব্যাঙ্ক দশ শতাংশ টিডিএস কেটে নেবে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা।

bottom of page