প্রচণ্ড গরম। এমন সময় অনেকেই এসি কেনেন। তবে Air Conditioner বা এসি কেনার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নেওয়া ভাল। তাতে আপনারই সাশ্রয় হতে পারে।
বারবার কারও পক্ষে এসি কেনা সম্ভব নয়। তার থেকে বরং ভেবেচিন্তে এসি বেছে নিলে লাভ। কোন কোম্পানির এসি কিনবেন, কত স্টার নিলে ভাল হয়, ঘরের সাইজ অনুযায়ী কত টন এসি কেনা প্রয়োজন, এসি লাগালে কেমন কারেন্ট বিল আসে, এসব প্রশ্ন সবার মনেই থাকে প্রায়।
ডোমেস্টিক ইলেক্ট্রিক লাইনে এসি-র জন্য আগে থেকে লোড দেওয়া থাকে না। তাই সবার আগে ইলেক্ট্রিক অফিসে গিয়ে লোড এক্সটেনশন এর আবেদন করতে হবে। কোটেশন বেরোলে, নির্ধারিত টাকা জমা দিতে হবে। এখন অবশ্য ফ্লাটে এসি-র লোড দেওয়া থাকে। সেক্ষেত্রে লোড বাড়াতে হবে কি না ইলেকট্রিশিয়ানের থেকে জেনে নিন।
Air Conditioner যে ইন্সটল করবেন সেকানে আরথিং ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। ভেন্টিলেটর বা ঘুলঘুলি থাকলে তা সবার আগে বন্ধ করে দিতে হবে। জানালা ও দরজায় কোনও ফাঁক রাখা যাবেনা। ঘর যেন এয়ার টাইট থাকে। না হলে কম্প্রেসরে চাপ পড়বে। বিল আসবে বেশি।
সাধারণত মিডিয়াম সাইজের ঘর, যেটি ১২ বাই ১৩ ফিট হয়, সেখানে এক টন এসি যথেষ্ট। তবে তার বেশি হলে ১.২ টন লাগানো উচিত। ১৫০ স্কয়ার ফুট বা বর্গক্ষেত্র বা তার বেশি হলে দেড় টন Air Conditioner লাগানো ভাল। ১২০ বর্গফুট পর্যন্ত ১ টন এসি চলে যাবে, তবে সেক্ষেত্রে ঘরে লোকসংখ্যা সর্বোচ্চ ৩ জন থাকতে হবে।
এখন এসি অটোমেটিক। ফলে ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বিদ্যুৎ দরকার হয়। দেড় টন এসি সব সময়ই লাভজনক। কারণ তাতে ঙর ঠান্ডা হবে তাড়াতাড়ি। আর কারেন্ট বিল আসবে কম।
3 Star বা 5 Star এসির দামের ফারাক কিন্তু অনেকটা। 3 Star এর চেয়ে 5 Star এর কারেন্ট বিল কম আসবে। বাজেটের সমস্যা না থাকলে 5 Star কেনা ভাল।