দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ সবসময় লাভজনক। কম টাকা দিয়েও বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু সময় কম হলে যেমন বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, তেমনই ঝুঁকিও বেশি থাকে। কারণ ১০ বছরে যদি কেউ ১ কোটি টাকা রিটার্ন চান, তাহলে ২০ বছর মেয়াদের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই স্বাভাবিক।
বাজার ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান ও এমডি রাজীব বাজাজ বলছেন, “২০ বছর মেয়াদে যদি কেউ প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার এসআইপি করেন, তাহলে খুব সহজেই ১ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি হবে। এতে বার্ষিক ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন ধরা হয়েছে। এখন যদি কেউ ১০ বছরে ১ কোটি টাকা চান তাহলে প্রতি মাসে ৪৩,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কারও মাসিক আয় যদি ৫০ হাজার টাকাও হয়, তাহলেও এই পরিমাণ বিনিয়োগ সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকার এসআইপি করাই ভাল”।
এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ২০ হাজার টাকার মাসিক এসআইপিতে বার্ষিক ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন ধরলে ১০ বছরে ৪৫ লক্ষ টাকা এবং ২০ বছরে ১.৮৪ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকারীদের ইক্যুইটি ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে প্রতি বছর মাসিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকারীদের ইক্যুইটি ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে প্রতি বছর মাসিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
রাজীব বাজাজ আরও বলেন, “কোটাক মাল্টি ক্যাপ ফান্ড, নিপ্পন ইন্ডিয়া মাল্টি ক্যাপ ফান্ড, এইচডিএফসি মিড ক্যাপ অপরচুনিটি ফান্ড এবং নিপ্পন ইন্ডিয়া গ্রোথ ফান্ডে সমানভাবে মাসিক এসআইপি ভাগ করে দিলে পোর্টফোলিওর বৈচিত্র্য বাড়বে। এতে বিনিয়োগ বিভিন্ন ফান্ড বিভাগ এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে ছড়ানো থাকবে। ঝুঁকি কমবে। বেশি রিটার্নের সম্ভাবনা বাড়বে। শুধু তাই নয়, পোর্টফোলিওর কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য বছরে অন্তত একবার পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করা উচিত। কোনও সমস্যা দেখা দিলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে”।