top of page

মাত্র ১,০০০ টাকা বিনিয়োগে মিলেছে ১.৪০ কোটি টাকা, এক শেয়ারেই মালামাল

পড়াশোনা করে সঠিক শেয়ারে বিনিয়োগ। সেই সঙ্গে ধৈর্য্য রাখা। না, বাতারাতি বড়লোক নয়। সময় নিয়ে অপেক্ষা করলেই সবুরে মেওয়া ফলবে। এটাই শেয়ার বাজারে টাকা করার আসল ফাতা। আর সেটাই করে দেখালেন লুধিয়ানার কুলদীপ সিং (৬৫)। মাত্র ১,০০০ টাকা বিনিয়োগকেই আজ ১৪০ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। তাও আবার একটি শেয়ার থেকে।

পড়াশোনা করে সঠিক শেয়ারে বিনিয়োগ। সেই সঙ্গে ধৈর্য্য রাখা। না, রাতারাতি বড়লোক নয়। সময় নিয়ে অপেক্ষা করলেই 'সবুরে মেওয়া ফলবে। এটাই শেয়ার বাজারে টাকা করার আসল ফান্ডা। আর সেটাই করে দেখালেন লুধিয়ানার কুলদীপ সিং (৬৫)। মাত্র ১,০০০ টাকা বিনিয়োগকেই আজ ১.৪০ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। তাও আবার একটি শেয়ার থেকে।


১৯৮৬ সালে IPO-র সময় জেবি কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালসে মাত্র ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুলদীপ সিং। সেই সময় তাঁর বয়স কম। তখন ১,০০০ টাকার মূল্যও কম ছিল না। তাও অনেক বিবেচনা করে, সাহস করে এই আইপিও-তে ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুলদীপ। আর আজ, সেই স্টক স্পিট এবং বোনাস ইস্যুর পর ৭ জুন, ২০২৪-এ তাঁর বিনিয়োগের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১.৩৬ কোটি টাকা।


আইপিও থেকে মাত্র ১০০টি শেয়ার পেয়েছিলেন

বিজনেস টুডে টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুলদীপ সিং বলেন, ১৯৮৬ সালে, তিনি ১০ টাকা করে ১০০টি শেয়ার কিনেছিলেন। এখন তাঁর কাছে জেবি কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালসের ৭,৫৮০টি শেয়ার রয়েছে। ৭ জুন, ২০২৪-এ এই শেয়ারের দাম ১,৮০০ টাকায় ক্লোজ হয়েছে। কুলদীপ সিং ২০১৭ সালে পঞ্জাব শন লিমিটেডের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের পদ থেকে অবসর নেন। আরও বেশ কিছু শেয়ারে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। কুলদীপের মোট -র মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।


এত আয় কিভাবে করলেন?


কুলদীপ প্রায় ৩৮ বছর ধরে ধৈর্য্য ধরে শেয়ার হোল্ড করেছেন। আর এই একটি গুণ থেকেই স্টক মার্কেটে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। ধৈর্য্য সহকারে বিনিয়োগ করাটাই দীর্ঘ মেয়াদে চমৎকার রিটার্ন দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরাও বিনিয়োগকারীদের এই কারণে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন।


বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু শেয়ারে ৫-১০ বছরের টার্গেট নিয়ে বিনিয়োগ করা যেতেই পারে। তবে এমন কিছু শেয়ারে বিনিয়োগ করা উচিৎ, যেগুলি আপনাকে ৩০-৪০ বছরের মেয়াদে রিটার্ন দেবে। অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আপনার সঞ্চয় বাড়ে। অবসরের সময় একটা বড় অঙ্কের টাকার ভান্ডার তৈরি করাটাই এক্ষেত্রে আপনার মূল লক্ষ্য।

bottom of page