দেশের ৩০টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে ভিখারীমুক্ত করার জন্য। এই শহরগুলি, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং পর্যটনের দিক থেকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের আওতায় 'সাপোর্ট ফর মার্জিনালাইজড ইন্ডিভিজুয়ালস ফর লাইভলিহুড অ্যান্ড এন্টারপ্রাইসেস' বা 'স্মাইল' নামে এক প্রকল্পের আওতায় এই নয়া 'ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত ভারত' প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য, কোনও প্রচেষ্টা বাদ রাখছে না ভারত। এবার, ২০২৬ সালের মধ্যে ‘ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত ভারত’ গঠনের লক্ষ্য নিল মোদী সরকার। না, ২০২৬ সালের মধ্যে গোটা ভারত ভিখারীমুক্ত হবে না। তবে, দেশের ৩০টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে ভিখারীমুক্ত করার জন্য। এই শহরগুলি, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং পর্যটনের দিক থেকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের আওতায় ‘সাপোর্ট ফর মার্জিনালাইজড ইন্ডিভিজুয়ালস ফর লাইভলিহুড অ্যান্ড এন্টারপ্রাইসেস’ বা ‘স্মাইল’ নামে এক প্রকল্পের আওতায় এই নয়া ‘ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত ভারত’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট শহরগুলির জেলা ও পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শহরের কোথায় কোথায় ভিখারীদের সংখ্যা বেশি থাকে, সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির মধ্য়েই এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য একটি সরকারি পোর্টাল ও একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। সেখানে, বেছে নেওয়া ৩০টি শহরের ভিখারীদের সম্পর্কে রিয়েল টাইমে তথ্য় আপডেট করা হবে। ভিখারীদের সমীক্ষা এবং তাদের পুনর্বাসন, আশ্রয় দান সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকেও রিপোর্ট করতে হবে এই পোর্টালে। ভিখারীদের কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হবে, তাঁরা কি ভিক্ষাবৃত্তিই করতে চান, না অন্য কোনও কাজ করে জীবনধারণ করতে চান? ইচ্ছা অনুযায়ী, তাঁদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
ধর্মীয় স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ১০টি শহর – অযোধ্যা, কাংরা, ওঙ্কারেশ্বর, উজ্জয়িন, সোমনাথ, পাভাগাধ, ত্রিমবাকেশ্বর, বোধগয়া, গুয়াহাটি এবং মাদুরাই। পর্যটনস্থলগুলির তালিকায় আছে – বিজয়ওয়াড়া, কেভাদিয়া, শ্রী নগর, নামসাই, কুশিনগর, সাঁচি, খাজুরাহো, জয়সলমের, তিরুবনন্তপূরম এবং পুদুচেরি। আর ঐতিহাসিক শহরগুলির মধ্যে রয়েছে, অমৃতসর, উদয়পুর, ওয়ারাঙ্গল, কটক, ইন্দোর, কোঝিকোড়ে, মাইসুরু, পঞ্চকুলা, সিমলা এবং তেজপুর। এই ৩০টি শহরের মধ্যে, একমাত্র কাংরা, কটক, উদয়পুর এবং কুশিনগর এখনও কেন্দ্রের এই পরিকল্পনায় সায় দেয়নি। আর সাঁচি জানিয়েছে, তাদের শহরে কোনও ভিখারী নেই।