top of page

ভক্তি ভরে পাঁচালি পড়েও ‘লক্ষ্মী’কে ধরে রাখতে পারছেন না? ৫ ভুল শুধরে নিলেই কাজ হবে

ছোট থেকে শুনে এসেছেন ‘লক্ষ্মী’ বড়ই চঞ্চলা। তাকে যত্ন করে রাখতে না পারলে, সে মোটেই হাতে থাকে না। ছোটবেলায় যখন যা প্রয়োজন হয়েছে, সে সব মা-বাবার কাছে আবদার করতেই পেয়ে গিয়েছেন।

কিন্তু বড় হয়ে যখন নিজে রোজগার করতে শিখেছেন, তখন বুঝেছেন অর্থের মূল্য। বিন্দু বিন্দু থেকেই যে সিন্ধু হয়, তা বুঝেছেন টাকা সঞ্চয় করতে গিয়ে। থাকা-খাওয়ার খরচ তো আছেই। কিন্তু সারা বছরে এত বিয়েবাড়ি, বন্ধুর বাড়িতে পার্টি কিংবা ঘুরতে যাওয়া হয়েছে যে সিন্ধু তো দূর, ওই বিন্দু থেকেও প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে টাকা তুলে নিতে হচ্ছে। কোথায় ভুল হচ্ছে বলুন তো?



১) খরচের তালিকা তৈরি না করা

বেঁচে থাকতে গেলে ঘরে-বাইরে বিভিন্ন খাতে খরচ হয়। প্রতি দিন, প্রতি মাসে কোথায় কোন খাতে কেমন খরচ হচ্ছে, তার হিসাব করলে কিন্তু হাতে লাগাম রাখতে পারবেন না। তবে অভিজ্ঞদের মত, মোট আয়ের ৫০ শতাংশ বাড়ির প্রয়োজনে, ৩০ শতাংশ নিজের জন্য এবং ২০ শতাংশ সঞ্চয়ের নানা রকম প্রকল্পে রাখতে পারে।

২) অতিরিক্ত খরচের হাত

টাকা জমাতে চান। অথচ দু’চোখে যা দেখেন তা-ই কিনে ফেলেন। এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কিন্তু সমূহ বিপদ। যেটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খরচ করুন। ছাড় দিচ্ছে বলে পছন্দের সমস্ত জিনিস এক মাসের মধ্যেই কিনতে হবে, এমন আকাঙ্খা থাকলে কিন্তু সঞ্চয় করতে পারবেন না।

৩) বিপদের জন্য সঞ্চয় না করা

কোনও একটা মাসে খরচ একটু বেশি হতেই পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি কারনোর জন্য বাড়তি টাকা লাগতে পারে। সেই সব কিছু আগে থেকে হিসাব না করলে সমস্যায় পড়তে হবে।

৪) অবসরের পরিকল্পনা

যাঁরা স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করেন, তাঁদের ক্ষেত্র আলাদা। কিন্তু চাকরি করলে নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর অবসর নিতেই হয়। হঠাৎ মাসের বেতন পাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে অবসাদ গ্রাস করতে পারে। তাই বয়স ষাট ছুঁলেও যেন স্বচ্ছলতায় ভাটা না পড়ে, তাই আগে থেকেই তার ব্যবস্থা করে রাখুন।

৫) সঞ্চয়ে দেরি

পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেতে পেতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। সুতরাং সঞ্চয়ের কথাও দেরিতেই মাথায় আসবে। কিন্তু জীবনে প্রতিটি পদক্ষেপ করতে বা সিদ্ধান্ত নিতে অর্থের প্রয়োজন। তাই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সঞ্চয়ে দেরি করা যাবে না।

bottom of page