আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। হাতে আর সপ্তাহ তিনেক বাকি। চাকরিজীবীদের ফর্ম ১৬ পূরণ করতে হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা শেয়ার বাজার থেকে আয় করেন তাঁরা কীভাবে আইটিআর ফাইল করবেন? স্টক মার্কেট থেকে অর্জিত আয়ে আইটিআর ফাইল করার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমে আয়করের নিয়ম বুঝতে হবে: যে কোনও ব্যক্তির আয়কে ৫টি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। প্রথম, বেতন থেকে আয়। দ্বিতীয়, বাড়ি বা সম্পত্তি থেকে আয়। তৃতীয়, ব্যবসা বা পেশা থেকে আয়। চতুর্থ, মূলধন থেকে আয়। পঞ্চম, অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
শেয়ার বাজার থেকে আয় কোন শ্রেণীতে পড়ে: স্টক মার্কেট বিনিয়োগ থেকে আয় হলে তা মূলধন লাভের আওতায় বা অন্যান্য উৎস থেকে আয়ের শ্রেণীতে পড়বে। আরও স্পষ্ট করে বললে, শেয়ার কেনা বা বিক্রির মাধ্যমে লাভ করলে সেটা মূলধন লাভ হিসেবে ধরা হবে। লভ্যাংশ থেকে আয় অন্যান্য উৎসের আওতায় আসবে।
কোন আয়ের উপর কত ট্যাক্স: মূলধন লাভ দু’প্রকার। দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভ। ১ বছর পর কোনও শেয়ার বিক্রি থেকে লাভ করলে তা মূলধন লাভের আওতায় আসবে। আয়ের উপর ১০ শতাংশের ফ্ল্যাট ট্যাক্স ধার্য করা হয়। পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ও মেলে। অন্য দিকে, ১ বছরের কম সময়ের মধ্যে শেয়ার বিক্রি থেকে লাভ করলে তা স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভের আওতায় আসে। এর উপর ১৫ শতাংশ ফ্ল্যাট ট্যাক্স দিতে হয়।
এ ধরনের আয় অন্যান্য উৎসের আওতায় আসবে: ইন্ট্রাডে ট্রেডিং বা লভ্যাংশ থেকে আয় করলে তা অন্যান্য উৎসের শ্রেণীতে পড়বে। প্রযোজ্য ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী এই আয়ের উপর কর দিতে হবে। যাইহোক লভ্যাংশ যদি ৫ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে ব্রোকার বা মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি ১০ শতাংশ হারে টিডিএস কাটে।
আইটিআর ফাইল করার সময় এই নথির প্রয়োজন: চাকরিজীবী ব্যক্তি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ থেকে আয় করেন তাহলে আইটিআর ফাইল করার সময় ৫ ধরনের নথির প্রয়োজন পড়বে। সেগুলি হল, ফর্ম ১৬, ফর্ম ২৬এএস, অ্যানুয়াল ইনফর্মেশন স্টেটমেন্ট, মূলধন লাভ স্টেটমেন্ট এবং ট্যাক্স লাভ ও লস স্টেটমেন্ট।