যদি আপনি ৬০ বছর বয়সে কোটিপতি হতে চান, তবে ২০ বছর বয়স থেকেই টাকা জমানো শুরু করা উচিত। কারণ, যত অল্প বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করবেন, ততই কম টাকা জমিয়েও ভবিষ্যতের জন্য বেশি সঞ্চয় করা যায়।
সঞ্চয় তো দরকার। কিন্তু বিনিয়োগ করবেন কোথায়? সঠিক বিনিয়োগ প্রকল্পের খোঁজ না থাকায়, অনেকেই সঠিক খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন না। তবে ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) তুলনায় বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই এসআইপি-তে ভরসা রাখেন। অল্প পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে, বড় সঞ্চয়ের জন্য সেরা অপশন হল এসআইপি (SIP)।
যেহেতু এসআইপি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রকল্প, তাই অল্প পরিমাণ বিনিয়োগ করেও, এসআইপি-তে বড় ফান্ড জমানো যায়। যদি আপনি ৬০ বছর বয়সে কোটিপতি হতে চান, তবে ২০ বছর বয়স থেকেই টাকা জমানো শুরু করা উচিত। কারণ, যত অল্প বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করবেন, ততই কম টাকা জমিয়েও ভবিষ্যতের জন্য বেশি সঞ্চয় করা যায়।
আপনি যদি ২০ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করেন, তবে মাত্র ১০০০ টাকা থেকেই এসআইপি-তে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন।
৩০ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করলে, ৩০০০ টাকা করে প্রতি মাসে এসআইপি-তে জমালে, অবসরের সময় কোটি টাকা জমে যাবে।
৪০ বছর বয়স থেকে সঞ্চয় শুরু করলে, এসআইপি-তে ন্য়ূনতম ৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা দরকার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য।
কত রিটার্ন পাবেন?
ফিক্সড ডিপোজিটে যেখানে সুদের হার ৭ থেকে ৮ শতাংশ, সেখানেই এসাইপি-তে ন্যূনতম ১২ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়। যদি আপনি ১০ বছরের জন্য ১০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন এবং ১২ শতাংশ হারে সুদের রিটার্ন পান, তবে ১০ বছর পর আপনার জমা টাকার অঙ্ক হবে ২ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৩৯ টাকা।
এভাবেই আপনি যদি ৩০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন ৩০ বছরের জন্য, তবে অবসরের সময় আপনার কাছে ১.০৫ কোটি টাকা জমা থাকবে।
যদি ৪০ বছর বয়সে এসআইপি শুরু করেন, তবে ন্যূনতম ২০ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। তবে ১২ শতাংশ রিটার্নের হারে আপনার ৪০ লক্ষ টাকা জমা হবে।