একদিকে যেখানে ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy) দ্রুতহারে বাড়ছে অপরদিকে প্রতিবেশী দেশ (China) চিন ক্রমশ সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি, ওই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পথও এখন দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায়, চিনের অর্থনীতি এবার ফের একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে। মূলত, গ্লোবাল রেটিং এজেন্সি ফিচ চিনের রেটিং কমিয়েছে। এদিকে, এই রেটিং এজেন্সির এহেন সিদ্ধান্ত ড্রাগনের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে।
জানিয়ে রাখি যে, গ্লোবাল রেটিং এজেন্সি ফিচ ওই দেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টর সহ আরও বিভিন্ন সেক্টরে ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে। এদিকে, একাধিক সেক্টরে ঝুঁকির কারণে চিনের রেটিং পরিবর্তন করা হয়। এমতাবস্থায়, ওই দেশের Sovereign Credit Rating স্টেবল থেকে নেগেটিভে পরিবর্তিত হয়েছে।
৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন FDI: রেটিং এজেন্সি ফিচ জানিয়েছে, সেখানে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা চিনের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি, চিনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও কমছে। ৩০ বছরের মধ্যে চিনের FDI সবচেয়ে বেশি কমেছে। উল্লেখ্য যে, গত বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২২ সালের তুলনায় ৮২ শতাংশ কম। এদিকে, ২০২৩ সালে চিনের ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট লায়াবিলিটিজ ৩৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যেটি ১৯৯৩ সাল থেকে সর্বনিম্ন।
রিয়েল এস্টেট সেক্টরের সঙ্কট সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে: উল্লেখ্য যে, রিয়েল এস্টেট সেক্টর চিনের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটি গত কয়েক বছর ধরে মারাত্মক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে রয়েছে। চিনের সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এভারগ্রান্ড দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাশাপাশি, চিনের প্রোপার্টি মার্কেটে সঙ্কটের মেঘ ঘনিয়ে আসছে। এদিকে, চিনের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের সঙ্কট তার ব্যাঙ্কিং সেক্টরেও প্রভাব ফেলছে। কারণ এর ফলে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্কগুলি সমস্যায় পড়ছে। যার প্রভাব দেশের শেয়ার বাজারেও দেখা যাচ্ছে। এই বছর, চিনের গ্রোথ রেট ২০২৩ সালের ৫.২ শতাংশের তুলনায় ৪.৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ভারতীয় শেয়ার বাজার রেকর্ড: এদিকে, আমরা যদি ভারতের কথা বলি, সেক্ষেত্রে ভারতীয় শেয়ার বাজার ক্রমাগত নতুন রেকর্ড গড়ছে। সম্প্রতি শেয়ার বাজারে সেনসেক্স ৭৫,০০০-এর স্তর অতিক্রম করেছে। এর বাইরে নিফটিও ২২,৭০০-র স্তর অতিক্রম করেছে। অনুমান করা হয়েছে যে ভারতের GDP ২০২৪ সালে ৬.৭ শতাংশের গতিতে বৃদ্ধি পাবে। যেখানে চিনের GDP বৃদ্ধির অনুমান ৪.৬ শতাংশ। এমতাবস্থায়, বিশ্বের একাধিক বড় সংস্থা ভারতের দিকে ঝুঁকছে।