একটা বড় বাটিতে জল নিয়ে ওর মধ্যে নুন আর হলুদ একবাটি করে দিন। একটা কাঁচকলা, পেঁপে অর্ধেক, শিম, বেগুন একটু বড় বড় টুকরো করে কেটে নিতে হবে। আলু চৌকো করে কাটুন সঙ্গে সজনে ডাঁটাও কেটে দিন
বসন্ত এসে গেছে। বেলা বাড়লেই রোডের তেজ বাড়ছে। দুপুরে একটানা ডেকে চলেছে কোকিল অন্যদিকে বিকেল হলেই বসন্তের হাওয়া। ঠিক শীতও লাগছে না আবার গরমও বিশেষ নেই। কিছুক্ষণের জন্য ফ্যান চালালেও পরক্ষণে তা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে
এমন আবহাওয়াতে সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা বাড়ে। সংক্রমণজনিত অসুখ, পক্স, হামও এই সময় বেশি হয়। ঠান্ডা-গরমে বাড়িতে বাড়িতে সবচাইতে বেশি হয় চিকেন পক্স। এই পক্সে খুবই খুবই কষ্ট হয় এমনকী কারোর যদি কো-মর্বিডিটি থাকে সেখান থেকে সমস্যা জটিল হতে পারে
এই সময় তাই বুঝেশুনে খাবার খেতে হয়। অতিরিক্ত তেল মশলা বা খুব বেশি ঝাল খাওয়া ঠিক নয়। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। সেই সঙ্গে সজনে ফুল, সজনে ডাঁটা, বিভিন্ন রকম শাক, নিমপাতা, উচ্ছে, শুক্তো এমন সব খাবার খান
লাউ, উচ্ছে দিয়ে মটর ডাল, বিউলির ডাল, বিভিন্ন রকম সবজির তরকারি এসব খেতে ভুলবেন না। আর তাই রইল দারুণ একটি রেসিপি। খাঁটি বাঙালি এই রেসিপি খেতে লাগবে খুব ভাল আর রান্না করাও বেশ সহজ। রইল রেসিপি
একটা বড় বাটিতে জল নিয়ে ওর মধ্যে নুন আর হলুদ একবাটি করে দিন। একটা কাঁচকলা, পেঁপে অর্ধেক, শিম, বেগুন একটু বড় বড় টুকরো করে কেটে নিতে হবে। আলু চৌকো করে কাটুন সঙ্গে সজনে ডাঁটাও কেটে দিন
অর্ধেক লাউ এর খোসা ছাড়িয়ে একটু বড় চৌকো টুকরো করে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে ওর মধ্যে বিউলির ডালের বড়ি ১২ টা ভেজে নিন। বাকি তেলে একটু পাঁচফোড়ন দিয়ে ভেজে নিন। এবার ওতে কেটে রাখা সব সবজি দিন। ডাঁটা ছাড়া
হলুদ নুন স্বাদমতো দিয়ে সবজি কষিয়ে নিতে হবে। ঢাকা দিয়ে সবজি রান্না করতে থাকুন। মাঝারি আঁচে সবজি গুলো রান্না করে নিতে হবে। ঢাকা দিয়ে রান্না করলেই সবজি থেকে জল ছাড়বে। এবার সজনে ডাঁটা দিয়ে দিতে হবে
সবজি কষিয়ে নিয়ে এক চামচ আদা বাটা আর গোটা কাঁচালঙ্কা দিন। কড়াইতে ভাল করে নেড়েচেড়়ে নিয়ে গরম জল দিন পরিমাণ মতো। ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন ১২ মিনিট। সবজি সেদ্ধ হয়ে যাবে। স্বাদ ঠিক রাখতে এক চামচ চিনি দিন। ভেজে রাখা বড়ি দিয়ে দু মিনিট ঢেকে রেখে নামিয়ে দিন