টাকা কেটে নিয়েও বিনিয়োগ না করার অভিযোগ উঠল ব্রোকারেজ অ্যাপ গ্রো-এর বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে জনপ্রিয় শেয়ার ব্রোকারেজ সংস্থাটি। তবে এই অভিযোগ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কডইন-এ হরেন্দ্র প্রতার সিং নামক এক ব্যক্তি দীর্ঘ পোস্ট করে অভিযোগ করেন, তাঁর বোনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়ে 'প্রতারণা' করেছে গ্রো। অভিযোগ করা হয়, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের নামে টাকা কাটা হলেও তা করেনি গ্রো। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন যে গ্রো একটি মিথ্যা ফোলিও নম্বর তৈরি করেছিল যার আদতে কোনও অস্তিত্বই ছিল না।
সেই ভাইরাল পোস্টটি এখন ডিলিট করা হয়েছে। তবে সেটির স্ক্রিনশট এখন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এদিকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে গ্রো। তবে হরেন্দ্র দাবি করেছিলেন, সেই পোর্টফোলিও থেকে যখন তাঁর বোন টাকা তোলার চেষ্টা করে, তখন তিনি তা করতে পারেননি। পরে এই নিয়ে সাফাই দিয়েছে গ্রো।
এই ভাইরাল পোস্টের জবাবে গ্রো বলে যে 'গ্রাহকের ড্যাশবোর্ডে ভুলভাবে একটি ফোলিও প্রতিফলিত হয়েছিল'। তবে গ্রো দাবি করে, কোনও লেনদেন হয়নি এবং গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও অর্থ কেটে নেওয়া হয়নি। সংস্থাটি আরও বলেছে যে তারা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে 'সরতলার সঙ্গে অর্থ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে'। এখন তারা ডেবিট স্টেটমেন্ট সহ ব্যাঙ্কের নথি চাইছে সেই গ্রাহকের থেকে।
এদিকে অভিযোগকারীর দাবি, ২০২০ সালে পরাগ পারেখ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছিল গ্রো অ্যাপের মাধ্যমে। তবে আসলে কোনও বিনিয়োগ করাই হয়নি গ্রো-এর তরফ থেকে। এপর হরেন্দ্র অভিযোগ করেন, যখন এই সমস্যা নিয়ে কাস্টোমার কেয়ারে ফোন করা হয়, তখন গ্রো-এর কর্মীরা তাদের সাহায্য করেনি। এদিকে অভিযোগকারীর মিউচুয়াল ফান্ড পোর্টাল থেকে বেআইনি ভাবে ওটিপি জানার চেষ্টাও নাকি করা হয় গ্রো-এর তরফ থেকে।
এদিকে গ্রো বলে, 'আমরা এই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত চালিয়েছি এবং আমরা নিশ্চিত যে গ্রাহক কোনও বিনিয়োগই করেননি।' এদিকে গ্রো দাবি করে, অভিযোগকারী গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকাই কাটা হয়নি এই ঘটনায়। পরে অভিযোগকারী গ্রাহককে বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় গ্রো।