বিগত কয়েক বছরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের রমরমা বেড়েছে মানুষের জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে বিগত কয়েক মাসের মধ্যেই। এই আবহে এবার সেবিও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারে মন দিয়েছে।
জানা গেল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তদন্ত চালানোর জন্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে সেবি। সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য কমলেশ চন্দ্র বর্ষনে এই দাবি করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সেবি কর্তা বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিষয়ে অবগত থাকতে হবে সবাইকেই।
এদিকে শেয়ার বাজারে কারসাজি করে কোনও স্টকের দাম নিয়ন্ত্রণ করা বা কৃত্রিম ভাবে স্টকের দাম চড়িয়ে দেওয়া নিয়ে ব্রোকারদের সতর্ক করেন সেবি কর্তা। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সেবি নজরদারি চালায় বলে সতর্ক করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত দিনে বহু ইউটিউবারকে এই কাজ করতে দেখা গিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে সেবি।
এই আবহে কমলেশ বলেন, 'শেয়ারের দামকে কৃত্রিম ভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে আজও। সব ক্ষেত্রে তো আর সেবি নজর রাখতে পারবে না। অনেক ব্রোকার এই সব কাজে যুক্ত আছেন। তাই অন্য ব্রোকারদের এই বিষয়ে নজর রাখতে অনুগ্রহ করব আমি। এই ব্যবস্থায় বাজে কোনও বিষয় যাতে না ঘটে, তার ওপরে নজর রাখা উচিত।'
শেয়ার ম্যানিপুলেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্রোকার এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে কমলেশ বলেন, 'আইন মেনে চলাই সবার জন্য উপকারী। আইন লঙ্ঘন করলে সমস্যা সৃষ্টি হবেই।' এরপর তিনি বলেন, 'আমরা বর্তমানে তদন্তের জন্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছি। এছাড়াও আরও অনেক কিছুর জন্যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে।'
কমলেশ জানান, নিয়ম লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শেয়ার বাজারকে আরও স্বচ্ছ করার দিকে নজর দিচ্ছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড। তিনি বলেন, 'যতক্ষণ শেয়ার বাজারের লেনদেন স্বচ্ছ থাকবে, ততক্ষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনও সমস্যাই নেই। কোনও হেরফের না হলেই হল।'